উপদেষ্টা ফারুকীর অপসারণের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ - মিছিল

জাবি
  © টিবিএম ফটো

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।


তার নিয়োগের পরপরই রোববার রাত সাড়ে ১০টায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা বটতলা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা উপায়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন, সমর্থন যুগিয়েছেন। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ট সাবেক তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধিক নেতার ঘনিষ্ট ছিলেন ফারুকী।

 

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই কবরে, মুজিববাদী সরকারে’, ‘মুজিববাদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসঙ্গে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘এক দুই তিন চার, ফারুকী তুই গদি ছাড়’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশের বক্তব্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি এবং টুঙ্গিপাড়ার মাজার। গণঅভ্যুত্থানের পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ৩২ নম্বর বাড়ি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আমাদের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা মনে করি, স্বাধীনতার পর সেই ভেঙে দেওয়া বাড়ি রেখে দেওয়া উচিত, যেন তা ফ্যাসিস্ট শাসন ভেঙে দেওয়ার প্রতীক হয়ে থাকে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, তিন মাস আগে আমরা হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখন লক্ষ্য করছি এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের আহত ও নিহত ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনও হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছ। অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছিল। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে, ছাত্রসমাজ আপনাদের সেই ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।