পবিপ্রবি'তে গ্লোবাল ক্লাইমেট টক -২০২৪ অনুষ্ঠিত
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি, সফিকুল ইসলাম;
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ PM
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের উদ্যোগে "সকলে মিলে ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা " শীর্ষক গ্লোবাল ক্লাইমেট টক -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।১১ নভেম্বর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে সকাল ১০ টা থেকে দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি'র উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ফার্মাকোলোজিস্ট প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ , ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম সফিকুল আলম, আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্স এর সিইও মিশেল থ্যাচার।
আনুষ্ঠানে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তন ও এটি প্রতিরোধের উপর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম সফিকুল আলম বলেন," ২০২৫ সালের মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে। পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অতিসত্বর তাপমাত্রা প্রশমনে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। "
ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্স এর সিইও মিশেল থ্যাচার বলেন," জলবায়ু নিয়ে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বের সর্ব উষ্ণ বছর। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।" এসময় তিনি আইপিসিসি এর সম্মিলিত প্রতিবেদন শেয়ার করেন।"
পবিপ্রবি'র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এখন বাংলাদেশ। সমগ্র বিশ্বে যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তা আশঙ্কাজনক; যা আমরা অনেকে বুঝতেই পারি না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এখন সচেতন। জলবায়ু পরিবর্তনরোধে নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সবুজ-শান্ত-শীতল বিশ্ব প্রত্যাশা করে শিক্ষার্থীরা। ভাইস-চ্যান্সেলর আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ প্রশমন ও টেকসই উন্নয়নের উপর আমাদের সবার গুরুত্ব দিতে হবে।"