'যে দেশে যত বেশি উদ্যোক্তা, সেই দেশ তত বেশি উন্নত'

রাবি
  © সংগৃহীত

আপনারা চাকরি করতে ইচ্ছুক হোন বা উদ্যোক্তা হতে চান । তবে আপনি যেটা করতে চান সেটাই ভালোভাবে করুন। আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে করুন, তাহলেই জীবনে সফলতা আসবে। যে দেশে যত বেশি উদ্যোক্তা, সেই দেশ তত বেশি উন্নত।  

গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানের ক্যারিয়ার টক আলোচনায় রাজশাহীর জনপ্রিয় আইটি প্রতিষ্ঠান টেকফ্লিক্সের সিইও নাসিম রানা মাসুদ এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি বলেন " অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে জীবনের প্রধান ও অন্যান্য গৌণ লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত।  প্রধান বা মুখ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা উচিত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।  কোনোভাবে যদি প্রধান লক্ষ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তাহলে গৌণ লক্ষ্য নিয়ে জীবন এগিয়ে নিতে হবে।  জীবন নিয়ে কখনো হয় না হলে নয় এমন চিন্তা করা উচিত নয়। ব্যর্থতার শিক্ষা থেকে গৌণ লক্ষ্যকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে পরিগণিত করে যদি কাজ করা যায় তাহলে এমনও হতে পারে যে আপনার চাওয়া-পাওয়া থেকেও অনেক বেশি আপনি অর্জন করেছেন।  

অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান বলেন "বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যৎ সফলতার ভিত তৈরি করবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের মতো সংগঠন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও গবেষণামুখী চিন্তাধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।"

রাবি ছাত্র উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের প্রতি দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, "জ্ঞানচর্চার এই অঙ্গনটি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম (কনক) এবং টেকফ্লিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অফিসার নাসিম রানা মাসুদ।

এছাড়া  আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ রানা। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাবের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং ক্লাবের  ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বের মধ্যে ছিল নবীনদের স্বাগত জানানো, কুইজ প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার টক, অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্বে নাচ, গান এবং অন্যান্য মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থাপনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।