গত ১৬ বছরে
শিবিরকে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, রটানো হয়েছে অজস্র অপবাদ: চবিতে শিবির সেক্রেটারি জাহিদুল
- চবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ PM , আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ PM
দীর্ঘ ১ যুগ পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে "ফ্রেশার রিসিপশন এন্ড ক্যারিয়ার গাইডলাইন' প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর, শনিবার সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট সংলগ্ন এ.জে. কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ বছর শিবির কে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের নামে দিয়েছে অজস্র অপবাদ। তাই অনেকে আমাদের গালি দেয়। আমরা কারো গালি কে বাধা দিবো না। স্বাধীন দেশে কারও কোন কাজে বাধা দেওয়া উচিত না। তবে আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের কাজেও আপনারা বাঁধা দিবেন না। আমাদেরকে আদর্শিক চর্চা করতে দিন, তাহলে দ্রুতই বুঝতে পারবেন আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো কতটা সত্য এবং কতটা অপবাদ।
তিনি আরো বলেন- আমরা কাউকে কখনো জোর করে ছাত্রশিবির করতে বলি না। আমরা সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে গেছে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতে হবে, দেশের স্বার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির এই ধরনের প্রেরণা নিয়ে কাজ করে এবং শিক্ষার্থীদের তাদের সহযোগী হওয়ার আহ্বান করে। কোন শিক্ষার্থী যদি মনে করে ছাত্রশিবিরের সাথে সংযুক্ত না হয়েও সে এই নৈতিক কাজগুলো করতে পারবে, আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ররাজনীতিকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল দখল, র্যাগিং কালচার, সিনিয়র-জুনিয়র ডমিনেন্স কে বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না।
চবি শাখার শিক্ষা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উদ্বোধনী বক্তব্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক উসামা রাইয়ান এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কাজী করকত আলী, বিশেষ আলোচক ছিলেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ হাসমত আলী।
বিপ্লব পরবর্তী এই ফ্রেশার রিসিপশনে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।