সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা
- রাবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ PM , আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্য আবু ছালেহ শোয়েবের ওপর মারধরের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব ও সাধারণ সম্পাদক এফ আর এম ফাহিম রেজা।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও ‘দৈনিক বণিক বার্তা’ পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবু ছালেহ শোয়েব হামলার শিকার হন। হামলার শিকার রাবি প্রেসক্লাব সদস্য শোয়েব’র মাধ্যমে জানা যায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গতকাল বিকেলে মার্কেটিং বিভাগ ও আইন বিভাগের ফুটবল খেলার পর সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করতে যান তিনি। এসময় মার্কেটিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী কর্তৃক তাকে মারধর ও হেনস্তা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক, বাক-স্বাধীনতা, ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে রাবি প্রেসক্লাব সদস্য শোয়েবের ওপর এই নিকৃষ্ট হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও এর স্বাধীনতা খর্ব করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। একই সাথে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ও চরম উদ্বেগের।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যারা শোয়েবের ওপর এই হামলায় জড়িত ছিলো তাদের সকলকেই অতি দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ঘৃণ্য কাজ করার সাহস না করে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার, ১৮ তারিখ বিকেল পাঁচটার দিকে রাবি প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ‘দৈনিক বণিক বার্তা’ পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবু ছালেহ শোয়েব ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখন মার্কেটিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবন পার হচ্ছিল। এমন সময় ওই বিভাগের আনুমানিক ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী শোয়েবের দিকে তেড়ে আসে এবং মারধর শুরু করে। ঐ সময় তাদের মধ্য থেকে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী তার গেঞ্জির কলার চেপে ধরে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, শোয়েব সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেখালেও ঔদ্ধত্য শিক্ষার্থীরা সেটি ছিঁড়ে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সহকর্মী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হেনস্তা করা হয়।