আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে ‘ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল’

ঢাবি
  © টিবিএম

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতিসহ সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’ নামক একটি মোর্চা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এসে শেষ হয়।

এসময় ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জাতীয় পার্টির ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতা।

কফিন মিছিলে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যেন আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা।

মোল্লা বলেন, ফ্যাসিবাদের হামলায় জুলাই-আগস্টে যারা হারিয়ে গেছে তারা আর কখনো ফিরবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদ কেন আবার ফিরে আসবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো দুহাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন স্বপ্ন এই বাংলাদেশে আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস গতকাল বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের রায় দিয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনাদের কে মেন্ডেট দিয়েছে? আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হলো আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এখনো আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে অথচ আমাদের শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে। আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানান তিনি।

‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন তারা চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক। এই বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছ থেকে স্পষ্ট বিবৃতি চাই।’

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ১০০ দিন পার হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদরা উঁকিঝুঁকি করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। তাদের কবর দেয়ার জন্য ছাত্রজনতা আবারও এক হয়েছে।