জাবিতে বর্ণবাদী প্লেকার্ড প্রদর্শনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জাবি
  © টিবিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় ও জাতীয় ফুটবল দলের (অনুর্ধ্ব-২৩) কৃতী খেলোয়াড় মো. মাহমুদুল হাসান কিরনকে কটাক্ষ করে অশালীন ও বর্ণবাদী ভাষায় বিশেষ প্লেকার্ড প্রদর্শন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং উপচার্য বরাবর প্রতিবাদলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেন তারা। পরে মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে একটি র‍্যালি নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যে (শিক্ষা) কাছে প্রতিবাদলিপি প্রদান করেন তারা। 

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বর্ণবাদী আচরণের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে ব্যাক্তিগত প্রোফাইল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন সাবেক ও বর্তমান অনেক শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের মধ্যে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালে ও পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থীদের এমন বর্ণবাদী প্লেকার্ড প্রদর্শন করেছেন। এবং সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, আমরা মানুষকে স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখবো। কখনোই কাউকে তার প্রতিবন্ধকতা কিংবা তার গায়ের রং এসব দিয়ে দেখা একেবারে অনুচিত। বরং কারো কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তার সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে কীভাবে তাকে একটি মানবিক জায়গায় নিয়ে আসা যায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সবসময় সেই চিন্তা থাকা উচিত। 

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এসেছি উচ্চ শিক্ষা এবং সুশিক্ষা নিতে। আমরা এখানে বর্ণবাদ কিংবা কোন ধরনের বৈষম্যমূলক কার্যক্রম শিখতে কিংবা শিক্ষা দিতে আসিনি। আমরা কোনধরণের ফ্যাসিজম, র‍্যাসিজম ধারণ করবো না এবং এটিকে ঘৃণা করি। 

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বর্ণবাদী আচরণ অপ্রত্যাশিত। আমরা মনে করি, বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রত্যাশা করছি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও যৌক্তিক আচরণ করবেন।