চবি প্রতিনিধি;

ই-মেইলিং সার্টিফিকেটেশন সার্ভিসের সিস্টেম ডেভেলাপার শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার

চবি

শিক্ষা জীবন শেষ করে সনদ উত্তোলন সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন ই -মেইলিং সার্টিফিকেটেশন সার্ভিস(ইএসএস) চালু করেছে যার মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে তিন দিনে ও সাধারণত সাত দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে সেটিও সংশোধন করার মেসেজ যাবে তাদের ই-মেইলে।আর এই শিক্ষার্থী বান্ধব সার্ভিসটির সিস্টেম ডেভেলাপার ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সার্ভিসটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। এর আগে ইএসএস সিস্টেমের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী জানান -আমরা ই-মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস নামে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সেবা চালু করেছি। এ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেটের জন্য জমাকৃত আবেদনের আপডেট জানতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী সনদের জন্য আবেদন করলে সেটি আমাদের কম্পিউটারে আসবে এবং তাকে ই-মেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে, তার আবেদন সাবমিট হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আমরা আবেদন যাচাই-বাছাই করে যদি দেখি সবকিছু ঠিক আছে, তবে তাকে জানানো হবে- আপনার আবেদন সফলভাবে সাবমিট হয়েছে। আবেদনে কোনো সমস্যা থাকলে তাকে সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোথায় ভুল আছে। পরে তা সংশোধন করে শিক্ষার্থীদের সনদ নেওয়ার জন্য নিদিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়াই সনদ নিতে পারবেন। 

এদিকে সিস্টেম ডেভেলাপার হিসেবে কাজ করা কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার জানান - বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট তুলতে অনেক ভোগান্তি পোহায়, আমি তাদের এমন কোন সিস্টেম তৈরি করে দিতে পারবো কিনা যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেট তৈরির অগ্রগতি এবং আবেদনপত্রে কোন ভুল থাকলে সেটা জানতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাদের ই-মেইল ব্যবহার করে একটি অটোমেটিক আপডেট জানানোর সিস্টেম তৈরি করে দিয়েছি। আশা করি এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার অগ্রগতি জানার জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার ভোগান্তি কমবে। আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে কাজটি করে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। এখন সিস্টেমেটা পূর্নাঙ্গ ভাবে চালু হলে যদি শিক্ষার্থীদের কিছুটা উপকার হয় তবেই আমার কাজটি সার্থক হবে।