রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

রবীন্দ্র
  © টিবিএম ফটো

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৯.৩০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

পরে বিজয় র‍্যালি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ হতে শুরু হয়ে স্থানীয় শাহজাদপুর শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক প্রদান করে। 

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার বলেন, আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সামনের দিনগুলোতে অগ্রসর হতে হবে তবেই আমরা বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। 

এক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার নিমিত্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উপর গুরুত্ব আরোপ করে ভাইস-চ্যান্সেলর আরো বলেন- শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার পাশাপাশি নিজেদেরকে সৎ চরিত্রবান ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মহান বিজয় দিবসে সকল ভেদাভেদ ভুলে অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করাই হোক আমাদের প্রত্যয়।

এরপর দিনব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর প্রাঙ্গনে বিকাল ৩.৩০ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া এবং আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। 

এছাড়াও বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাইনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব জান্নাতুল মাওয়া মুন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব বিজন কুমার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব নুসরাত জাহান, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব ইয়াতসিংহ শুভ এবং প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ক জনাব নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। 

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।