রাবিতে ঢাবির কলা অনুষদের ভর্তি অনুষ্ঠিত
- রাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৫ PM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৫ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আঞ্চলিক কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২ টায়।
গত বছরের ন্যায় এবারও একযোগে দেশের আটটি বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোর সামনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি দেখা যায়। পরীক্ষার শুরুর এক ঘণ্টা আগেই লাইনে দাঁড়িয়ে একজন একজন করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ঘড়িসহ কোনো কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।
পাবনা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু রোহান ইবনে সাঈদ বলেন ঢাবির খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভোর বেলা রাজশাহীতে আসছি। পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে।আঞ্চলিক কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের জন্য অনেক সুবিধা জনক হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু হুমায়রা কবিরের অভিভাবক রওশন আরা বলেন, বাড়ি থেকে এসেছি গতকাল বিকালে। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ায় সুবিধা হয়েছে অনেক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, ঢাবির কলা অনুষদের পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৮৬৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের আবেদন করেছিলো। ধারনা করা যায় যার মধ্যে উপস্থিতি ছিল ৯৫শতাংশ।কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আমরা পরীক্ষা শেষ করেছি।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ক যত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেইসকল পদক্ষেপ নিয়েছি। ট্রাফিক কন্ট্রোল ও প্রশ্ন ট্রান্সপোর্টেশন সবকিছুই ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রোভার স্কাইট, বিএনসিসি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল ভোলান্টিয়াররা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। সকলের সহযোগিতায় ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য ঢাবির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন করা হয়েছিলো। এছাড়াও বিএনসিসিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকরা শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তায় নিয়োজিত ছিলো।