দ্রুত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চান স্থানীয়রাও
- হাবিবুর রহমান, রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ PM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ PM

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে গতকয়েক দিনের লাগাতার আন্দোলনে উত্তাল রবীন্দ বিশ্ববিদ্যালয়। দফায় দফায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের গুরুত্ব, তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয়দের সোচ্চার ও জনমতগঠনে স্থানীয় শাহজাদপুর বাজারে জনসংযোগসহ নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করছেন রবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, এবার আর কোনো আশার বুলি নয়, খালি হাতে নয় বরং ক্যাম্পাসের সংবাদ নিয়ে ঘরে ফিরতে চান তারা।
চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় শাহজাদপুর উপজেলাবাসী। গত বুধবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সহস্রাধিক এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে গেলে আফজাল ফকির নামের এক বৃদ্ধ জানান, আমাদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের ফলে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু এত বছর চলে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা না হওয়া হতাশাজনক, দুঃখজনক। ছেলে-মেয়েগুলো কতো কষ্ট করে ম্যাচে থাকে। দ্রুত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরেকজন প্রবীণ বলেন, শাহজাদপুরবাসীর আন্দোলনের ফসল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসের এই নায্য দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলনের সাথে আছি।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের বিষয়ে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হাসান তালুকদার জানান, “স্থায়ী ক্যাম্পাসের ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট জমা দেওয়া হলেও সরকারের পরামর্শে তা বারবার সংকুচিত করে মোট আটবার জমা দিতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় ৬শত কোটি টাকার প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, যা ইউজিসি হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে গিয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের বাজেট পাবে কি না তা আগামী ২৮শে জানুয়ারীর সভায় জানা যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ১১ই মে ২০১৫ তারিখে মন্ত্রী সভার বৈঠকে 'রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ আইন,২০১৫'-এর খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সংসদে পাস হয় ''রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন।"