ইবি প্রক্টরের উপর হামলার প্রতিবাদে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ইবি
  © টিবিএম ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর শাহিনুজ্জামানের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইইই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মোঃ শাহিনুজ্জামানের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। পরে উক্ত দাবি নিশ্চিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

এসময় ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির আমিন বলেন, "আমাদের শিক্ষক তথা বিভাগীয় সভাপতির উপর এমন বর্বরোচিত হামলা সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকলে তবেই একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। শিক্ষকের উপর এই ধরনের হামলা আমাদের সেই বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। আমরা ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।"

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী। এসময় উপ-উপাচার্য বলেন "আমি ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষ থেকে বলতেছি, একজন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গর্বিত ইবিয়ান হিসেবে আমি কখনো এই বিষয়টি (হামলাটি) মেনে নেবো না এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয়। যাতে জীবনে আর এ ধরনের কোনো ঘটনা কোনো শিক্ষকের উপর বে-আইনি ভাবে এবং অন্যায়ভাবে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। শক্তিশালী একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে যদি এই তদন্ত রিপোর্ট আমাদের মন:পুত না হয় বা জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেটার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার জন্য আমি মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে আবেদন করবো।"

উল্লেখ্য, গত ১ফেব্রয়ারি দিবাগত রাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে আইন বিভাগ ও আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রক্টর ও শিক্ষক সহ দুই বিভাগের অনেকে আহত হয়।