এক যুগ আগে নিখোঁজ দুই ইবি শিক্ষার্থীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ PM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ PM

এক যুগ আগে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ও দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দুই বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম রাফি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ফ্যাসিস্ট ৫ আগস্ট চলে গিয়েছে তারপর আমরা ভেবে ছিলাম আমাদের ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইকে ফিরে পাবো। কিন্তু আমরা তা না পেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে। ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী তারা ঢাকার সাভার থেকে ফেরার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাক ধারী কিছু মানুষ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো।আমাদের ধারণা তারা ছিল আওয়ামী দুর্বৃত্ত। এক যুগ পার হলেও তারা এখনো ফেরে নি। ৫ আগষ্টের পর অনেক গুম হওয়া নেতাকর্মীরা ফিরেছে কিন্তু তারা এখনো ফিরে নি।আমাদের দাবি,আমাদের ভাইদের সন্ধান দিন নইতো তাদের কবরের সন্ধান দিন।"
১২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল-মুকাদ্দাস। ওয়ালীউল্লাহ অনার্সের রেজাল্টে বিভাগের মধ্যে প্রথম স্হান অধিকার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে কুষ্টিয়া ফিরছিলেন ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাস। পথিমধ্যে নবীনগর এলাকা থেকে র্যাব ও ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয় তাদের। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওয়ালীউল্লাহ ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন অর্থ সম্পাদক এবং মুকাদ্দাস সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুমের খবর অস্বীকার করে। তবে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ৭৬ জনের একটি তালিকা দেয় বাংলাদেশ সরকারকে। সেই তালিকায় ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাসেরও নাম পাওয়া যায়। সেই সময়ে এই ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।