ইবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ PM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) "সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মোছাঃ শাহনাজ বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, "লাইব্রেরি একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। মুসলিম ইতিহাসের প্রতিটি সময়ে লাইব্রেরির গুরুত্ব ছিলো অনন্য। এই উপমহাদেশে মুঘল শাসনামলে অনেক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। মানুষ লাইব্রেরি থেকেই নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। পৃথিবীর সমৃদ্ধ বইগুলো লাইব্রেরীতেই সংরক্ষিত থাকে। এটি জ্ঞান ভান্ডার। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল সময়ে প্রতিষ্ঠানিক লাইব্রেরীর গুরুত্ব কিছুটা কমেছে। আজকের র্যালীতে তোমন শিক্ষার্থী নেই। এটা আমাদের প্রশাসনিক ব্যার্থতা। আগামী বছর থেকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে লাইব্রেরি দিবস পালন করা হবে। আমাদের লাইব্রেরিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।"
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে দেশে দিবসটি প্রথম পালিত হয়।আজ পালিত হচ্ছে অষ্টম জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।