জাবিতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ AM , আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ AM

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন যেন ছাত্রলীগের স্থান দখল করছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রদল। এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ ফুচকা-চটপটির দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বটতলা এলাকায় কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন হারে চাঁদা দাবি করেন তাঁরা।
ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী এবং ভুক্তভোগী দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী দোকানদারদের কাছে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, তারা দোকানদারদের জানান যে, যদি প্রতিদিন এক হাজার বা দেড় হাজার টাকা দেওয়া হয়, তাহলে তারা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাদের সাহায্য করা হবে। দোকানদাররা তৎক্ষণাৎ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তবে দোকানদারেরা তৎক্ষণাৎ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরে যেকোনো সময় টাকা নিতে আসবেন বলে জানান।
এ ঘটনার পর ছাত্রদলের মধ্যে এই বিষয়টি জানাজানি হলে, কয়েকজন নেতা-কর্মী দোকানদারদের কাছে গিয়ে সন্দেহভাজনদের ছবি দেখান। এ সময় তারা অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্র এবং শাখা ছাত্রদলের সদস্য গোলাম রাব্বানী অর্ণবকে শনাক্ত করেন। গোলাম রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে থাকেন। তবে বাকিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা জানান যে, গোলাম রাব্বানীর সাথে আরও দুজন ছিলেন।
একটি ভ্রাম্যমাণ ফুচকার দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'কয়েকজন ছাত্র তাঁর দোকানে এসে একপাশে ডেকে নিয়ে গোলাম রাব্বানী (যার ছবি দেখে শনাক্ত করা হয়) তাঁর কাছে দৈনিক এক হাজার টাকা দাবি করেন। ওই সময় আরও কয়েকজন দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।'
আরেক দোকানদার জানান, 'কয়েকজন ছাত্র তাঁর দোকানে এসে চা-পানি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। তিনি তখন বলেন, "টাকা নেই," কিন্তু তারা জানান যে, পরে যেকোনো সময় তারা টাকা নিতে আসবেন।'
‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। এখন যদি কেউ আমার নাম করে এমন কাজ করে থাকে, তাহলে কী বলব। আমি এমন কোনো কিছু করিনি। সবকিছু তো আপনারা জানেন, একজনের নাম বলে অন্যজন এমন কাজ করে।’
আপনার ছবি দেখালে দোকানদারেরা আপনাকে শনাক্ত করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে রাব্বানী বলেন, ‘যদি তাঁরা বলেন, আমার কী করার আছে। আমি ছিলাম না, এসব মিথ্যা।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ বলেন, "বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখব এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো