পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না : ইবি উপাচার্য 

ইবি
  © সংগৃহীত

পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের কখনো কখনো মৃত্যু ঘটে না। ইতিহাস থেকে জানা যায় জ্ঞানের যে সমৃদ্ধি ও বিস্তৃতি সবকিছু সম্ভব হয়েছে লেখনীর মাধ্যমে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইবির বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে 'তরুণ কলাম লেখক ফোরাম' ইবি শাখা আয়োজিত লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, "পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না। কারণ লেখার মৃত্যু ঘটে না। এই যে জ্ঞানের যে বিস্তৃতি, জ্ঞানের যে সমৃদ্ধি, যদি ইতিহাসের দিকে আমরা তাকাই, লেখনীর মাধ্যমে জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে সারা পৃথিবীতে। আর এই জ্ঞানের যাত্রা অব্যহত আছে অনন্ত কালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে। লেখার মতো গুণ আর অন্য কিছুতে নেই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই যদি লেখালেখি করে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। লেখা সমাজের দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে সমাজকে চেনা যায়।"

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এতে যৌথ সঞ্চালনা করেন মহিমা খান ও তুহিন বাবু।

প্রধান আলোচক হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য ও ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, ইবি শাখার উপদেষ্টা আবু তালহা আকাশ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ইবি ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, ইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম ও সংগঠনের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম বলেন, 'পবিত্র কুরআনে প্রথম যে শব্দটি নাযিল হয়েছে, সেখানে পড়ার কথা বলা হয়েছে, অথচ লেখাপড়াতে ইসলামের কথা বললে আমরা মৌলবাদী বলা হয়। কিন্তু টেলিভিশনে যখন বিভিন্ন ধর্মের কথা বলা হয়, তখন তারা মৌলবাদী হয় না। তাদের এই ধারণার কারণ হচ্ছে, তারা ইসলাম জানে না। আমি ৬২ বছর ধরে পড়াচ্ছি। তরুণদের সঙ্গেই আমরা সার্বক্ষণিক উঠাবসা। তার মানে কিন্তু, আমি এখনো তরুণ আছি। আমার বয়স আটাশি হতে পারে, কিন্তু আমি এখনো তরুণ। যে কোন অন্যায়কে প্রতিরোধ করবে এই তরুণরা। সেই প্রতিরোধ আসবে তাদের লেখার মাধ্যমে। তরুণরা চাইলে তাদের লেখার মাধ্যমে সব ধরনের অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে পারে।"