জোহা দিবসে জোহার প্রতিকৃততে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ রাবি প্রেসক্লাবের

রাবি
  © টিবিএম ফটো

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলি থেকে ছাত্রদের বাঁচাতে শহীদ সামসুজ্বোহার ১৯৭৯ সালে বুক পেতে দেওয়ার দিন আজ। সেই শহীদ জোহার স্মরনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শহীদ জোহার কবর প্রঙ্গনে এ পুষ্পস্তবক অর্পণ কর হয়।

এসময় প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.  ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে গেলে ড.জ্বোহা স্যারকে বাদ দিয়ে লিখা যাবে না। তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। তিনি শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে গেছেন কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়। তার অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতের সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

উপস্থিত প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের জামিল বলেন,জোহা স্যার প্রাণ দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা সূচনা হয়েছিল।  তৎকালিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান হাদির গুলি করার আদেশের বিরুদ্ধে বুক করে দিয়েছিলেন জোহা স্যার। ১৮ই ফেব্রুয়ারিকে জাতীয়করণ না করায় রীতিমতো অপমান করা হয়েছে। অতি দ্রুত ১৮ ফেব্রুয়ারিকে শিক্ষক দিবস জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা অনুরোধ জানাই বর্তমান সরকারের কাছে। 

এসময় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মাহিন বলেন,জোহা স্যার জুলাই আন্দোলনের স্পৃহা জুগিয়েছেন। শামসুদ্দোহা স্যারের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা যখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাঠে নামে তখন পাক সেনারা যখন ছাত্রদের উপর হামলা চালায় তখন তৎকালীন প্রক্টর শামসুজ্জো স্যার বলেছিলেন, আমার ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন তা আমার গায়ে লাগে এবং পরবর্তীতে তিনি পাক সেনাদের গুলিতেই নিহত হয়। সর্বোপরি শামসুদ্দোহা তার ছাত্র সমাজের অনুপ্রেরণা। এই ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানায়।

এর আগে ৮টা থেকে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কালো পতাকা উত্তোলন করে প্রশাসন ভবন ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর,আবাসিক হল প্রশাসন ও অন্যান্য ভবন নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় শহীদ জোহার সমাধি ও জোহা স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন , ফোকলোর বিভাগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সহ অনান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।