পরিবহন খাত সংস্কারসহ ইবি ছাত্র ইউনিয়নের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন

ইবি
  © সংগৃহীত

পরিবহন খাত সংস্কারসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) সংসদ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, সহ সভাপতি উদয় দেবনাথ ও সাদিয়া মাহমুদ মীমসহ সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যরা।

মানববন্ধনে তারা বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বিভীষিকাময় দিন। এদিন বাসচালকের গাফিলতির কারণে বৃত্তিপাড়ায় এক দুর্ঘটনায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফিটনেসবিহীন  ও অদক্ষ বাসচালকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চলাচলের ব্যবস্থা করে রেখেছে। অনতিবিলম্বে ইবির পরিবহন পুল থেকে ফিটনেসবিহীন সব বাস অপসারণ করতে হবে এবং অযোগ্য, অপ্রশিক্ষিত ও উদ্ভট মস্তিষ্কের চালকদের বাদ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নতুন বাস যুক্ত করতে হবে। 

এছাড়া তারা আরও বলেন, খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বৃত্তিপাড়া থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত রাস্তার মর্মান্তিক অবস্থা।  প্রশাসনের কাছে দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত এ মহাসড়ক সংস্কার করতে হবে। ক্যাম্পাসের পরিবহনের এহেন অবস্থার দ্বায় স্বীকার করে উপ-উপাচার্যকে পরিবহন প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এবং যোগ্য ও দায়িত্বপরায়ণ একজন শিক্ষককে পরিবহন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। সর্বোপরি বাসের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার্থে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় পরিবহন প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দিতে হবে।

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, "গত কিছুদিন আগে একটি বিভাগের সাথে আর একটি বিভাগের সংঘর্ষ হয় বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে। এটি অত্যন্ত হাস্যকর একটা বিষয়। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে বাসের সিট ধরতে হয় যুদ্ধ করে। তাকে যুদ্ধ করে বাসে করে ক্যাম্পাসে আসতে হয়। এর চেয়ে হাস্যকর বিষয় আর কিছু হতে পারে না। তাছাড়া তুলনামূলক ভালো বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য দেয়া হয়। ফিটনেসবিহীন দুর্বল বাসগুলো শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করতে দেয়া হয়। এটি কিভাবে হতে পারে? শিক্ষার্থীরা কি মানুষ না? এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর কোনোভাবে মেনে নিবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা শত শত শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। আপনারা আর টালবাহানা করে পরিবহন সেক্টরকে ধ্বংস করবেন না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়ায় চালিত বাস আর দেখতে চাই না। আমরা আশা করি আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে বাস ক্রয় করে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক পরিবহন ব্যবস্হা করবেন।"