পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ইবিতে বর্ণাঢ্য র্যালি
- মাহফুজুল হক পিয়াস, ইবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ PM

পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর; আহলান সাহলান, মাহে রমজান; রমজানের পবিত্রতা, রক্ষা করো করতে হবে; দিনের বেলা পানাহার, বন্ধ করো করতে হবে; বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো; অশ্লীলতা বেহায়াপনা, বন্ধ করো করতে হবে; বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, কমাতে হবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ইবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এইচ এম আবু মুসা, বর্তমান সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন রাহাত, তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি এস এম শামীম, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি নোমান হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জমিয়তে তালাবায়ের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, মাহে রজানের পবিত্র রক্ষায় আজকের এই র্যালি শুধুমাত্র কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং এটি বিশ্বব্যাপী জানান দেওয়া যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মাহে রমজান ও ইসলামী সংস্কৃতি ধারণ করে, লালন করে। সারা বিশ্বে এই সংস্কৃতি পৌঁছে দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় ভূমিকা রাখবে। আমরা সিয়াম পালন, তারাবি নামাজ, ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি, দিনের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের দোকানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। রমজানে ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার অশ্লীলতা চলতে দেওয়া যাবে না। সকল প্রকার অশ্লীলতা, বেহায়াপনা রুখে দেওয়া আমাদের ঈমানি দায়িত্ব।
এসময় ইবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু মূসা বলেন, রমজান সিয়াম সাধনা ও পবিত্রার মাস। কিন্তু এই রমজানকে কেন্দ্র করে এক প্রকার সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। যেকোনো মূল্যে এই সিন্ডিকেটের বিলোপ করতে হবে।
শিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, রমজান মাস শুধু উপবাস করার জন্য নয়। বরং আমরা যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারি। রমাদানের শিক্ষা থেকে অন্য সকল মাসে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে চাই। শয়তানকে আল্লাহ এ মাসে শিকলবদ্ধ করেন কিন্তু আমাদের মানসিকতায় যে শয়তান রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়া রমজান মাসে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের খাবারের জন্য বেশ কষ্ট হয়। তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে বিশেষভাবে ভাবতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যে লক্ষ্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণে রমজানই মূখ্য সময়। আমাদের সকলকে রমজানের পবিত্রতা ও শুদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। সকলে পবিত্র রমজানের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করবো। এবং সকলের কাছে এই মাসের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান পৌঁছে দিবো।