১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার দাবি ইবি ছাত্রদলের

১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ৯০ দিনের ভিতরে বিচার কার্যক্রম শেষ করে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের নিশ্চিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক  আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মনিরুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন,  সৌরভ, উল্লাস, মুক্তাদির, সাক্ষর সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ৯০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ দিতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণে দেশের পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, মনে হচ্ছে দেশে কোনো সরকারই নেই।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আছিয়া ধর্ষণ মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে সিরিজ ধর্ষণ চলছে। সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মনে হচ্ছে দেশে কোনো সরকার নাই। সেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলের সব কর্মকর্তা কমর্চারী বহাল তবিয়তেই আছে। সংস্কারের নামে টালবাহানা চলছে। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। কিন্তু তাদের কর্মকান্ড আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশে খুন, ছিনতাই অহরহ ঘটছে। মা বোনেরা কোথাও নিরাপদে যেতে পারছে না। গোটা দেশের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কর্মক্ষেত্রে মা-বোনেরা হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছে। সরকারকে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত এসব ঘটনার সমাধান করুন। অতি দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন। আমরা ধর্ষক মুক্ত, নিপীড়ক মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

উল্লেখ্য, গতকাল ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক (সহসভাপতির পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।