অর্জনহীন শারীরিক শিক্ষা বিভাগ, নেপথ্যে কারা?

নজরুল
  © সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের বেহাল দশা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পেলেও শোচনীয় অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিভাগটি। ক্রীড়াপ্রেমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসার জায়গা শারীরিক শিক্ষা বিভাগ নিজেই যেনো পঙ্গু, নেই কোনো অর্জন।

এছাড়াও বিভাগের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে ও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে, অযোগ্য, অদক্ষ কর্মকর্তারাই পরিচালনা করছেন বিভাগটি। যাদের নিজেদের নেই খেলাধুলা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান। তাছাড়া, বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায়ও যথেষ্ট ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। যেমন- শীতের সময়ে ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই নেয়নি বিভাগটি।

আইন ও বিচার বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানোয়ার রাব্বি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৫ বছরে তেমন কোনো আন্তঃবিভাগীয় খেলা পরিচালিত হয়নি। তবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের চাপে হোক কিংবা শারীরিক শিক্ষা বিভাগের নিজেদের উদ্যোগে সফল দুটো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। এটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে বিগত প্রশাসন যেখানে খেলাধুলা ধ্বংস করে দিয়েছিলো সেখানে বর্তমান প্রশাসন পুরোপুরি খেলা বান্ধব এটা বলতেই হয়।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ নিয়ে আমরা হতাশ, খেলাধুলা করার জন্য বিশাল আয়তনের মাঠ থাকলেও খেলার অনুপযুক্ত, এই নিয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক শিক্ষা বিভাগে কথা বলেও মেলেনি সুষ্ঠু কোনো সমাধান, তাছাড়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট গুলোর ক্ষেত্রে ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগ খেলোয়াড়দের জন্য পর্যন্ত প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ সামগ্রির যোগান দিতে পারছে না, তারই সাথে টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়ার শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে যে ব্যঘাত ঘটে সেটা নিয়েও কোনো যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বিভাগটি, যার ফলে অনেক ক্রীড়া প্রতিভাবান খেলোয়াড় চাইলে ও অংশ নিতে পারে না। 

বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউদ্দিন মন্ডল বলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সবসময় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ টা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে, নানান প্রতিকূলতায় আমাদের বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করছি আমরা, বিভাগের অনেক বিষয় প্রত্যক্ষভাবে আমাদের হাতে থাকে না।

মাঠ সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঠ সংস্কারের নির্দিষ্ট কোনো বাজেট কখনো হয়নি, ক্যাম্পাস সংস্কারের সময় মাঠে মাটি, বালু ফেলে ভরাট করা হয়, বিষয়টি নিয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে বসবো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সুষ্ঠ খেলার মাঠ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ কেন এতো পিছিয়ে আছে সে সম্পর্কে আগের প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে, তবে আমি যোগদানের পর বিভাগ থেকে আমার সাথে সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়নি, তবে ইতিমধ্যে মাঠ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছি, চলমান ড্রেনের কাজ শেষ হলেই মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু হবে এবং আরও যেসব সমস্যা গুলো আছে তা নিয়ে খুব শীগ্রই মিটিংয়ের আয়োজন করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।