তিন দফা দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
- আশরাফুল আলম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ PM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ PM

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের "চির উন্নত মম শির" প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উপস্থাপন করে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
প্রথম দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা জানান, Assistant Engineer পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমানে এই পদে নিয়োগে সমমান বা কোটা ভিত্তিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে যা মেধাবীদের প্রতি বৈষম্যমূলক। ৯ম গ্রেড বা সমমানের পদে নিয়োগে সবার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা চালু করা উচিত এবং এতে অন্তত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীরা বলেন Sub Assistant Engineer পদে ডিপ্লোমা এবং বিএসসি—উভয় ধরনের ডিগ্রিধারীদের জন্য সমান সুযোগ থাকতে হবে। বর্তমানে ১০ম গ্রেডের এই পদে প্রায় শতভাগ কোটা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সংরক্ষিত, যা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি একটি বড় ধরনের বৈষম্য। সংবিধানের আলোকে চাকরির ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
তৃতীয় দফায় তারা জানান, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না—এমন আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দের মর্যাদা রক্ষায় IEB-এর স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করা জরুরি।
এই বিষয়ে ইইই বিভাগের এক শিক্ষার্থী সামি আল জাবের বলেন, বর্তমানে ডিপ্লোমাধারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। আমরা তাদের এই অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদ জানাই। দেশের প্রকৌশল খাতকে সঠিক পথে ধরে রাখতে এবং সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে একটি যৌক্তিক ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী লুৎফজ্জামান প্রত্যাশা বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখেছি, কিছু ডাক্তারি ডিপ্লোমাধারী নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহারের দাবি তুলেছিলেন, যা সরকার নাকচ করে দেয়। এখন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাধারীরাও একই ধরনের দাবি করছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিশ্বে কোনো দেশেই ডিপ্লোমা করা ব্যক্তি ‘ইঞ্জিনিয়ার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারে না। তাই আমরা চাই, বাংলাদেশেও এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বৈষম্যের অবসান হোক।