প্রক্টরের অজান্তে ইবিতে শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাব থেকে বের করার অভিযোগ

ইবি
  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন ল্যাব থেকে প্রক্টরের অজান্তে শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ করেছেন। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা ল্যাবে কাজ করা অবস্থায় উপর মহলের নির্দেষের কথা বলে তাদেরকে ল্যাব থেকে বের করে দেয় নিরাপত্তা কর্মীরা। শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের সম্মতিতে ল্যাবে কাজ করার কথা জানালেও কোনোরকম কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তাদেরকে বের করে দেয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

এদিকে এবিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান। কার নির্দেশে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এটি করেছে তা তিনি জানেন না।

সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের ল্যাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। 

ভুক্তভোগী বায়োটেককনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থী আবু রেজা বলেন, ঘটনাটি শুরু হয় আইসিটি বিভাগকে কেন্দ্র করে। কিছুদিন যাবত ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের রাতের বেলায় ল্যাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল রাতে আমার বিভাগে রাত ১০ টায় ল্যাবে কাজ করছিলাম। তখন নিরাপত্তা শাখার আশরাফ উদ্দিন এসে আমাকে রাতে ল্যাবে কাজ করা যাবে না বলে জানায়। তখন আমি কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, রাতে ল্যাবে গান বাজানো হয়, রাত ২টার দিকে এক ছাত্রী খাবার নিয়ে আসে বলে নানা ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। তখন আমি বলি, এই ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমাদেরকে আগে কিছুই জানানো হয়নি। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, এই সিদ্ধান্ত নাকি আমাদের বিভাগের সভাপতিরা নিয়েছেন।”

আইসিটি বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী জানান, আমরা রাতে নিয়মিত ল্যাবে কাজ করি। সম্প্রতি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে রাত ৯-১০ টার দিকে নিরাপত্তা শাখার দুই-তিন জন লোক এসে আমাদের বের করে দেয়। এ ঘটনায় আমরা খুবই বিব্রত এবং আমাদের গবেষণার জন্য বিরাট প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আশরাফ বলেন, "আমরা গিয়ে তাদের ল্যাবে কাজ করার অনুমতি আছে কি না জানতে চাই। অনুমতি না থাকলে বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে বলে চলে আসি। তাদেরকে বের করে দেইনি।"

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, "আমি একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। আমি শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাব থেকে বের করে দিবো এটা হতেই পারে না। প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে এরকম কোনো নির্দেশনাই ছিলো না যে ছাত্রদেরকে তারা ল্যাব থেকে বের করে দিবে। আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জিঙ্গেস করেছি, তারা জানিয়েছে এমনটি বলেনি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাদের বের করে দিয়েছে উপর মহলের নির্দেশ বলে। আমি আবারো নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তলব করবো কার নির্দেশে এমনটি করেছে।"