শুধু আবাসিকদের জন্য খাবার: রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
- রাবি প্রতিনিধি :
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) ২০২৫ উপলক্ষে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশনের আয়োজন করার কথা জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিল।
এমন বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে এবং স্বাধীনতা দিবসের খাবারের সর্বজনীন আয়োজন দাবি করে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমন্বয়ক এবং ছাত্রশিবির এ আয়োজনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এবং সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, "স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক। প্রশাসনের এমন আচরণ প্রশ্ন তোলে স্বাধীনতা দিবস কী শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য? অথচ আবাসন বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবছর হলের উৎসব ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় ফি বহন করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিলো গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধরনের অন্যায্যতা গুলোয় ছেদ ঘটবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের বহু সিদ্ধান্তের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলের পার্থক্য দেখা যাচ্ছেনা। আমরা অবিলম্বে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ খাবার আয়োজনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে সর্বজনীন খাবার বন্টনের দাবি জানাই।"
রাবি ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. নওসাজ্জামান বলেন, প্রশাসনকে প্রতিটি বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে তো সমস্যা। ২৮ তারিখ আমাদের অনাবাসিক ভাই-বোনদের রেখে রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে এই সিস্টেমকে বৈধতা দেওয়া হবে। সুতরাং আসুন অনাবাসিক ভাই-বোনদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে আমরা কোনো রেজিষ্ট্রেশন করবো না এই প্রতিজ্ঞা নেই। প্রশাসনের উদ্যোগে দেওয়া খাবার হল প্রশাসন আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাগাভাগি করে খেয়ে নিলেই আমরা খুশি হবো। আমি বয়কট করলাম, আপনিও করুন।
রাবি সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে সাধারণত হল প্রশাসন থেকে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এইটা করা হয় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য। অথচ আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের যাবতীয় ফি প্রদান করে আসছে।
আগামী ২৮ এপ্রিল স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ খাবারের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে রাবি প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। যা শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যই দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী হলের বাহিরে অর্থাৎ অনাবাসিক হিসেবে থাকে। এমতাবস্থায় এইটা সংশোধন করা জরুরি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার অধিকার রাখে। এ থেকে কাউকে বঞ্চিত না করার জন্য রাবি প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাই।
পরিশেষে বক্তারা স্বাধীনতা দিবসের খাবারের সার্বজনীন আয়োজন চালু না হলে, এই বৈষম্যমূলক খাবার বর্জনের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।