নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার বিভাগের ৯ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব শুরু ৪ মে
- আশরাফুল আলম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১২:৪৭ PM , আপডেট: ০১ মে ২০২৫, ১২:৪৭ PM

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে ৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে নয় দিনব্যাপী ৯ম বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২৫। বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ‘নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক)’ কোর্সের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ উৎসব চলবে ১২ মে পর্যন্ত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ও ৭টা ৩০ মিনিটে মঞ্চস্থ হবে দুইটি করে নাটক। বাংলা ও বিশ্বসাহিত্য, সমকালীন সমাজ-বাস্তবতা এবং জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে উপজীব্য করে নির্মিত ১৮টি নাট্যপ্রযোজনা প্রদর্শিত হবে এবারের উৎসবে। নাটকগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন কোর্স সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা। পুরো কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হবে তৃপ্তি রাণী রায়ের নির্দেশনায় ‘ইতি বিনোদিনী’ এবং মনিসা সাহার ‘কোকিলারা’। পরবর্তী দিনগুলোতে পর্যায়ক্রমে মঞ্চে আসবে আফিয়া জাহান প্রার্থনার ‘তেজ’, মো. শাকিল আহমেদের ‘ভার্সেস অব ব্লাড এন্ড ফায়ার’, জাফরিন হক তরুর ‘কোয়েশ্চান মার্ক’, পিপাসা সাহা গৌরীর ‘লেডি আওই’, পরাগ বর্মণের ‘বীক্ষণ’, ইশরাত জান্নাতের ‘পাখি’, রাফেল আফ্রাদের ‘ভেরোনিকার নতুন জীবন’, ফারহানা আমবেরীন লিওনার ‘অতসী মামী’, পল্লব কুমার বিশ্বাসের ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’, ফাতেমা তুজ যাহরার ‘জিনের বাদশা’, মো. শাহীন আলমের ‘লবিং’, সামিয়া সুলতানা চারুর ‘মৃত্যুঞ্জয়’, প্রিয়াংকা রাণী দাসের ‘ডলস হাউজ’, লাবণী রাণী পন্ডিতের ‘গেম অব গ্রিড’, সুমাইয়া খান কানিজের ‘দ্যা স্টেশনারি শপ অব তেহরান’ এবং হাবিবা আক্তার পিংকীর নির্দেশনায় ‘মুক্তি?’।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘ভার্সেস অব ব্লাড এন্ড ফায়ার’ নাটকটি মঞ্চস্থ হবে ৫ মে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন টিএসসি ভবনের পেছনে খোলা মঞ্চে। বাকি ১৭টি নাটক পরিবেশিত হবে জিয়া হায়দার ল্যাব থিয়েটারে।
বিভাগীয় প্রধান ড. মো. কামাল উদ্দীন বলেন, “নাট্যোৎসবটি আমাদের বিভাগের নিয়মিত আয়োজন, এবার নবম বছরে পদার্পণ করল। কোর্সের অংশ হলেও এই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা, চিন্তাশক্তি এবং নির্দেশনার দক্ষতা প্রকাশের সুযোগ পায়। শুধু পরীক্ষকের মূল্যায়ন নয়, দর্শকের প্রতিক্রিয়াও তাদের শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বাইরের দর্শকরা নাটক উপভোগ করতে আসবেন এবং মতামত দিয়ে শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করবেন।”
উৎসবকে কেন্দ্র করে টিকিটের বিশেষ ব্যবস্থাও থাকছে। প্রতিটি নাটকের জন্য পৃথক টিকিট ছাড়াও থাকছে কম্বো ও প্যাকেজ টিকিটের সুযোগ। উৎসবের শেষ দিন আয়োজিত হবে র্যাফেল ড্র, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। টিকিট সংগ্রহের জন্য বিভাগের সামনেই থাকবে নির্ধারিত কাউন্টার।