নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশৃঙ্খল পরিবেশে গুচ্ছ 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং নতুন কলা অনুষদ ভবনে এই পরীক্ষা নেয়া হয়।

চলতি বছরে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ৫,৪৯৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫,২৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, যা উপস্থিতির হার ৯৫.১৭৮ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নেয় ব্যাপক প্রস্তুতি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে সারাদিন দায়িত্ব পালন করে প্রক্টরিয়াল বডি, রোভার স্কাউট, আনসার সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নজরদারি চালানো হয়। কেউ যেন মোবাইল ফোন, ঘড়ি বা নিষিদ্ধ ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা ছিলেন সর্বোচ্চ সতর্ক।

পরীক্ষার্থী সহায়তায় এগিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনও। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বিভিন্ন উপজেলা অ্যাসোসিয়েশন ক্যাম্পাসে স্থাপন করে হেল্প ডেস্ক। এসব ডেস্কে পরীক্ষার্থীরা ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমা রাখার সুযোগ পান। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের জন্য চালু হয় বাইক সার্ভিস এবং সরবরাহ করা হয় বিশুদ্ধ পানি। অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে সরবরাহ করা হয় শিক্ষা উপকরণ এবং অভিভাবকদের জন্য রাখা হয় বিশ্রামের ব্যবস্থা।

দূর থেকে আগত পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ময়মনসিংহ ও ভালুকা থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত চালু করে বাস সার্ভিস। অভিভাবকদের বসার জন্য নির্মাণাধীন টিএসসি ভবনের নিচতলা ও ‘গাহি সাম্যের গান’ মুক্তমঞ্চে রাখা হয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম পরিদর্শন করেন বিভিন্ন কেন্দ্র। তার সঙ্গে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য জানান, পাঁচটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মোট ৮২টি কক্ষে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নয়, আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও সহায়তা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল সর্বোচ্চ। তিনি রোভার স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেন।