ছাত্রদলের পদে থেকেই যুবদলে পদ নেওয়ার চেষ্টা, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

জাককাইনবি
  © ফাইল ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আমিনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের দায়িত্বে থেকেও যুবদলের পদ পাওয়ার তৎপরতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকেও ঢাকায় যুবদলের সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

২০২১ সালের ৬ জুন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়, যার আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান এবং সদস্য সচিব আল আমিন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ ৩ মাস হলেও প্রায় চার বছর ধরে চলা এই কমিটির অধিকাংশ সদস্যই এখন নিষ্ক্রিয়। প্রায় ২০ জন সদস্য মাঠে সক্রিয় নন এবং অনেকে আর ছাত্রও নন।

দলের একাধিক নেতার অভিযোগ, সদস্য সচিবের নিষ্ক্রিয়তা এবং একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা সংগঠনে বিভক্তি তৈরি করেছে। বর্তমানে অন্তত পাঁচটি উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলছে ছাত্রদলের রাজনীতি।

এক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, আল আমিন নিজে নিষ্ক্রিয়, আবার সংগঠনকেও নিষ্ক্রিয় করে রাখছে। এতে গুপ্ত সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়ছে।

সম্প্রতি আল আমিনের যুবদলের সাক্ষাৎকার দেওয়ার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্তব্য করেন, যদি সে ছাত্রদল ছাড়ত, তাহলে যুবদলে যাক—তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু ছাত্রদলের পদ আঁকড়ে ধরে সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এটা আমরা মানতে পারি না।

এ বিষয়ে আল আমিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সব প্রোগ্রামের নির্দেশনা দেই, সেটা ক্যাম্পাসে না গেলেও হয়।" যুবদলের সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এখনো কোনো পদ পাইনি, পেলে সবাইকে জানাবো। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।

এদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান বলেন, আল আমিন পারিবারিক কারণে কিছুদিন ক্যাম্পাসে আসেনি। তবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। সে যুবদলের সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছে, এটা জেনেছি। তবে কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত সে নিজেই ভালো বলতে পারবে।

সম্প্রতি হল রাজনীতি এবং সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে আহ্বায়ক কমিটির এক সদস্যকে পদচ্যুত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।