খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে কুবি শাখা ছাত্রদলের কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৪ PM , আপডেট: ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৪ PM

উন্নত চিকিৎসা শেষে চার মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে বিএনপি'র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য মোতাছিম বিল্লাহ পাটোয়ারী রিফাতের সঞ্চালনায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাফায়েত হোসেন সজল, রিয়াজ উদ্দিন অন্তর, আহবায়ক সদস্য মোতাছিম বিল্লাহ পাটোয়ারী রিফাত, ছাত্রদল নেতা আশরাফ উদ্দিন মুন্না, আরিয়ান আরিফ, জিসান খান, রাসেল হোসেন, শরিফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এসময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাফায়েত হোসেন সজল বলেন, 'সুদীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতনের অবসানের প্রেক্ষিতে আপোষহীন নেত্রী শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে প্রায় চার মাসের উন্নত চিকিৎসা সফর শেষে আজ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। একই সাথে দীর্ঘ ১৭ বছরের ষড়যন্ত্রের নির্বাসিত জীবন সমাপ্ত করে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানসহ জিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ। আজকের এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে স্মরণীয় করতে চেয়েছি।'
আহবায়ক সদস্য মোতাছিম বিল্লাহ পাটোয়ারী রিফাত বলেন, 'আপসহীন নেত্রী বেগম জিয়া দীর্ঘ ৪ মাসের উন্নত চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন। সাথে আছেন দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। জিয়া পরিবার বাংলাদেশের জন্ম থেকেই দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের কল্যাণে জিয়া পরিবারের বিকল্প নেই।'
ছাত্রদল নেতা রিয়াজ উদ্দিন অন্তর বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার জিয়া পরিবারের উপর অমানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। তার ফলস্বরূপ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে প্রেরণ করে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। একইভাবে তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপনে বাধ্য করেছে। আজকের এই দিনে আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হোক।'