রাবিতে হল সংস্কারে শিবিরের ১৮ দফা প্রস্তাব
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৭ PM , আপডেট: ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৭ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও সমস্যার অবসানে ১৮ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবির মতিহার হল শাখা। হলের পরিবেশ উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং ছাত্রকল্যাণে বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী সমাধানের পথও দেখিয়েছে সংগঠনটি।
ছাত্রশিবিরের দাবির মধ্যে রয়েছে;
১. রিডিং রুমের আধুনিকায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু।
২. শিক্ষার্থীদের সাইকেল রাখার জন্য নিরাপদ গ্যারেজ নির্মাণ।
৩. মতিহার হল ডিবেটিং ক্লাব পুনরায় চালু করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি।
৪. হলের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ।
৫. হল মসজিদে জুমার নামাজ চালু এবং এসির ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. হল লাইব্রেরি পুনরায় সচল করে পাঠচর্চার উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা।
৭. গেস্টরুম, টিভি রুম ও গেমস রুম সংস্কার ও আধুনিকায়ন।
৮. ডাইনিং ও ক্যান্টিনে মানসম্মত খাবার সরবরাহ এবং নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা।
৯. মাদকদ্রব্য সেবন ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০. উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা।
১১. বৈদ্যুতিক পানির ফিল্টার স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১২. গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের, বিশেষত মানবিক বিবেচনায়, দ্রুত সিট বরাদ্দ প্রদান।
১৩. হল চত্বর ও ভবনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ।
১৪. শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনায় হল প্রাঙ্গণে খাবার ও কনফেকশনারি দোকানের ব্যবস্থা।
১৫. বৃক্ষরোপণ, দেয়ালচিত্র ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে হলের সৌন্দর্যবর্ধন কর্মসূচি গ্রহণ।
১৬. মেধা ও মননশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক কর্মসূচির আয়োজন করা।
১৭. হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি ও সুসম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুনর্মিলনী (Reunion) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
১৮. হল প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে উল্লিখিত প্রস্তাবগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
এই বিষয়ে,মতিহার হল শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, হলের সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে নিচে উল্লিখিত ১৮-দফা প্রস্তাবনা পেশ করছি,যা শিক্ষার্থীদের আবাসিক, নিরাপত্তা, শিক্ষাবান্ধব এবং ধর্মীয় চর্চার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, সম্মানিত প্রাধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী এই প্রস্তাবনাগুলোর প্রতি সদয় দৃষ্টি প্রদান করবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
শিবিরের মতে, ২০২৪-এর বিপ্লবের পর শিক্ষার্থীদের আশা ছিল হল প্রশাসন দ্রুত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। তাদের এ ১৮ দফা দাবি সেই প্রত্যাশারই ধারাবাহিক প্রকাশ।