নীতিগত অনুমোদন পেল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প
- রবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১১:৫৩ AM , আপডেট: ০৮ মে ২০২৫, ১১:৫৩ AM

দীর্ঘ আট বছর প্রতিক্ষার পর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্প নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। আনন্দ মিছিল আর ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস স্লোগানে মুখরিত করেছে শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ আট বছর ধরে নানা জটিলতা ও সংশোধনের পর গতকাল বুধবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাস থেকেই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমে ৯,২৩৪ কোটি টাকা থাকলেও, পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.এস এম হাসান তালুকদার বলেন, "আজকে প্রকল্পটির যে অনুমোদন পেয়েছে তা শুধুমাত্র নীতিগত অনুমোদন এবং পরবর্তী একনেক সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন হবে বলে আশা করছি। এর আগে বনও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজুয়ানা হাসান আসবেন পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর ভর করেই আমরা প্রকল্পের জন্য অনুমোদন পেয়েছি কারণ আন্দোলন করার ফলে পুরো দেশকে জানান দিতে পেরেছি। বাজেটের অর্থ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''আমরা চেষ্টা করবো প্রকল্পের প্রত্যেকটা টাকা যেন সৎভাবে ব্যবহার হয়।''
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকল্প প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি ফেরত দিয়ে ব্যয় এবং আকার কমানোর সুপারিশ করা হয়। পরে আরও পাঁচবার প্রস্তাব করা হলেও অনুমোদন না দিয়ে সংশোধনের জন্য একইভাবে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচন-নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত বছরের ডিসেম্বরে সাতবারের মতো প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। এবার ব্যয় আগের থেকে ৮৯ শতাংশ কমিয়ে প্রস্তাব করা হয় ৯৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। তাতেও সাড়া মেলেনি। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পর্যালোচনা সভায় আবারও ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়।
বারবার সংশোধন আর পুনর্গঠনের গোলকধাঁধায় আটকে ছিল সেই প্রস্তাব। অবশেষে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রকল্প প্রস্তাবটি আজ একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।