বেরোবিতে জুলাই বিপ্লবের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান বিষয়ক সেমিনার
- বেরোবি প্রতিনিধি :
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১১:৩৩ PM , আপডেট: ১৫ মে ২০২৫, ১১:৩৩ PM

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার কতৃক রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান, প্রচার ও আলোচনা বিষয়ক শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের গ্যালারি রুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড মো:শওকাত আলী, জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান,ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা পরিচালক প্রফেসর ড. ইলিয়াস প্রামাণিক, সহকারী প্রক্টর ড. আবদুল্লাহ আল মাহাবুব, শহীদ ফেলানী হলের প্রভোস্ট ড. সিফাত রুমানা,মানবাধিকার সহায়তা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম, জুলাই আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্য, জুলাই আন্দোলনের আহত কয়েকজন যোদ্ধা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।
জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবদুল্লাহ আল তাহিরের মা বলেন, আমার ছেলের আচরণে মুগ্ধ হয়ে কিছু ছাত্রলীগের ছেলেরাই আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তার ব্যবহারে তার সহপাঠীরাও মুদ্ধ ছিল। এখনও মাঝে মাঝে তাহেরের বন্ধুরা আমাকে ফোন দিয়ে তাহেরের আচরণের প্রশংসা করেন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার তাহের যে অধিকার আদায়ের জন্য শহীদ হয়েছেন। আমি চায় এমন সরকার যেন আর কখনও ক্ষমতায় না আসে। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড মো:শওকাত আলী ব'লেন,আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশের নাবিশ্বের আইকন হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।আমরা যে অধ্যায় পার করেছি এমন অধ্যায় যেন আর কখনই ফিরে না আসে। আমার এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবু সাঈদকে হারিয়েছি। আবু সাঈদের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমরা মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সব কার্যক্রম পরিচালনা করবো। সেই সাথে কোন নিরপরাধ মানুষ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবো।
সিনিয়র হিউম্যান রাইটস এডভাইজার হুমা খান বলেন, “তথ্য অনুসন্ধান এবং তা জনগণের কাছে তুলে ধরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনগুলো শুধু আন্তর্জাতিক নথি নয়, বরং রাষ্ট্রের আয়না, যেখানে আমরা দেখতে পাই কোথায় আমাদের ঘাটতি এবং কোথায় সম্ভাবনা।”
কিন্তু আন্দোলনের সময় দেখা গিয়েছিল যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ডিজিএফআই, এনএসআই সিটিটিসি, এনটিএমসি এরা সবাই সহিংস উপায়ে আন্দোলন দমনে সহায়তা করেছিলো যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। আন্দোলনে আহত অনেক শিক্ষার্থীরা হসপিটালে চিকিৎসা পেতে দেয়নি, তাদের কে হুমকি ধুমকি, গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সব কোটা সংস্কারের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।কিন্তু বিক্ষোভকারীদের উপর নানারকম বাধা প্রদান করা হতো। যা একজন ব্যাক্তির সমাবেশের অধিকার, ব্যাক্তি স্বাধীনতা,নিরাপত্তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
এছাড়াও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলো স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত করলে এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসলে আবু সাঈদ হত্যার মতো ঘটনা আর ঘটবে না। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফান্ডিং রিপোর্ট টি বাংলাদেশে ঘুরে সরাসরি এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টটি তৈরি করা হয়।