পবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উৎসব
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১০:৫২ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৫, ১০:৫২ PM

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো গবেষণা উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট, সম্ভাবনা ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনার অংশ হিসেবে পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারের সঞ্চালনায় রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, পবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং সিনিয়র অধ্যাপক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিসার্চ ফর কোস্টাল রেজিলিয়েন্স এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবে ইউজিসির বিশেষ অনুদানে ২০২২–২৩ অর্থবছরের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের দশটি গবেষণা প্রকল্প এবং পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের দুইটি বিশেষ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। উৎসব শেষে নির্বাচিত গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ এবং একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় গবেষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব বলেন, আমরা একটি জ্ঞাননির্ভর, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। গবেষণার মান অনেক উচ্চ পর্যায়ের—যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। আশা করছি, শীঘ্রই পবিপ্রবি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রধান পৃষ্টপোষক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা কেবল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না বরং নিয়মিত গবেষণার মধ্য দিয়ে সমাজ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবেন। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষকেরা নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। পবিপ্রবি প্রথমবারের মতো গবেষণা উৎসব আয়োজন করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র। শিক্ষক ও গবেষকদের উচিত নিয়মিত গবেষণায় নিজেদের যুক্ত রাখা এবং তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।