তুচ্ছ ঘটনায় বাস আটকে ৪০ হাজার টাকা আদায় জাবি শিক্ষার্থীর

জাবি
  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিরন আহমেদ মৌমিতা পরিবহন থেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। ঘটনাটি ঘটে একটি তুলনামূলক তুচ্ছ ঘটনার প্রেক্ষিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৭ মে হিরন ও তার মা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মৌমিতা পরিবহনে চড়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে ঝামেলার একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন হিরন। পরে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার সময় আবারও মৌমিতা বাসে ওঠেন তিনি। তখন হেমায়েতপুর এলাকায় একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ছবি তুলতে গেলে বাসের লোকজন তাকে বকাঝকা করে বলেও জানান তিনি।

পরদিন হিরন ও কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে মৌমিতা পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকানোর চেষ্টা করলে কোনো বাস সড়কে দেখা যায়নি। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন।

২৩ মে আবারও পাঁচটি বাস আটক করলে বাস কর্তৃপক্ষ প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে মৌমিতা পরিবহনের তিনজন প্রতিনিধি প্রক্টরের দপ্তরে এসে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে মুচলেকা দেন।

জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে হিরন প্রথমে বলেন, “আমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছি।”
তবে যখন সাংবাদিক তাকে ৪০ হাজার টাকা পাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন এবং বাস কর্তৃপক্ষের রেফারেন্স দেন, তখন তিনি তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রেফারেন্স দিলে হিরন জানান, “আমি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।” কিছুক্ষণ পর এক কল-ব্যাকের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেন, “আমার বিকাশে বাকি পঁইত্রিশ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে, কিন্তু আমি তখনো দেখিনি।”

প্রথমে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার কথা বললেও পরে পুরো চল্লিশ হাজার টাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশিদুল আলম বলেন, “বাস কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়েছে এবং জরিমানা হিসেবে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। ভুক্তভোগীর ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান, হিরন ত্রিশ হাজার টাকার বিল উপস্থাপন করেছিলেন।”

প্রসঙ্গত, এর আগেও হিরনের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সময় গুরুতর আহত না হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।