ভারতে মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ০১:৪৪ PM , আপডেট: ০৯ জুন ২০২২, ০১:৪৪ PM

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, কটূক্তিকারী দুই নেতা সরাসরি বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা জানি, বিজেপি সরকার ইসলাম বিদ্বেষকে পুঁজি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা বলে দিতে চাই, কটূক্তিকারী দুই নেতাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ের মধ্যমণি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)। ভারতের বিজেপির দুই নেতা রাসুল (সা:) এর পবিত্র বিবাহ নিয়ে কটূক্তি করে সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সা:) যার চরিত্রের সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। রাসূল (সা:) নিয়ে কটূক্তিকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় না আনলে দুনিয়ার মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবে না।
তারা বলেন, আমাদের রাসুলের মর্যাদা কচুপাতার পানি নয়, রাসুলের মর্যাদা জমিনের সমান নয়, রাসুলের মর্যাদা আল্লাহর আরশের সমান। যদি দুনিয়ায় একজন মানুষ বেঁচে থাকে, তাহলে তার ইমানি দায়িত্ব এই কটূক্তির জবাব দেওয়া। তাই আজ আমরা এখানে এসেছি। আমরা এই কটূক্তির প্রতি চরম নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের এক টিভি শোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। পরে তার বক্তব্যকে সমর্থন করে টুইট করে দিল্লীর বিজেপি নেতা নবীন কুমার জিন্দাল। এ ঘটনায় ভারতসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে। দুই নেতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রিয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মুসলিম বিশ্ব থেকে চাপ অব্যাহত রয়েছে বিজেপি সরকারের ওপর। ইতোমধ্যে দুই নেতাকে বহিষ্কার ও বরখাস্ত করেছে বিজেপি। দুই নেতাকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা করেছে দিল্লী পুলিশ। যদিও মামলা দুটিতে প্রতিবাদকারী বেশ কয়েকজন মুসলিমও রয়েছে।