শিক্ষক হত্যাকারীর গ্রেপ্তার চেয়ে ঢাবিতে আমরণ অনশন

আমরণ অনশন
আমরণ অনশনে ঢাবির ৫ ছাত্র  © সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সাত শিক্ষার্থী। 

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। অনশণকারীরা শিক্ষক উৎপল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের (২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী নাঈম পারভেজ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী চৌধুরী শামীম, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) মোস্তফা কামাল রনি, দর্শন বিভাগের (২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ) জাভেদ মুন্না, গ্রীন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) রুমিত আয়াত, মাদারীপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম এবং সাউদইস্ট ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মোস্তফা কামাল রনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদেরকে নানাভাবে ঘাটে ঘাটে তাদেরকে অপমান-অপদস্থ করা হচ্ছে, লাঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি আমরা দেখতে পেলাম, একজন শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আমরা আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করবে এবং এই ধরনের অপমানজনক কর্মকাণ্ড থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবে।

চৌধুরী শামীম বলেন, সাভারের উৎপল স্যারকে জিতু নামের যে খুনি কর্তৃক প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা এই আমরণ অনশন শুরু করেছি। তাকে যেন খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়। যে পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করা হবে সে পর্যন্ত আমরা আমাদের অনশন চালিয়েই যাব।

তরিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, সেখানে শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলার মত ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা উৎপল স্যারের হত্যাকারীর এমন বিচার চাই যে, ভবিষ্যতে যেন আর এরকম অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে। বখাটে জিতুকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।

মেহেদি হাসান বলেন, আমরা বাংলাদেশের যত সাধারণ শিক্ষার্থী আছেন তাদের পক্ষ থেকে এখানে বসেছি। সম্প্রতি একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং অপরজনকে নিহত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে বসেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ যেন এর সুষ্ঠু বিচার করে।