অধ্যাপকের বাসায় হামলা

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের মানববন্ধন

তিতুমীর কলেজ
হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন  © মোমেন্টস ফটো

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার ও সরকারি তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর উত্তরার বাসায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগসহ কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার(২জুলাই) বেলা ১২টায় তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধন থেকে দোষীদের শাস্তির দাবি করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতৃকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া বলেন, অধ্যাপক ড.রতন সিদ্দিকীর উপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। শিক্ষকরা আমাদের জাতী গঠনের কারিগর। আর সেই শিক্ষকের উপর হামলা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। দেশ ও জাতী গঠনে তিনি সব সময়ই ভূমিকা পালন করেছেন। আজ তিনিই হামলার শিকার হলেন। আমরা এই হামলার সাথে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক- মাহমুদুল হাসান জুয়েল মোড়ল বলেন, অধ্যাপক ড.রতন সিদ্দিকী শুধু তিতুমীর কলেজের শিক্ষক নন তিনি পুরো দেশের সম্পদ। শিক্ষকদের উপর এমন হামলার ঘটনা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের মোটেও কাম্য নন। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের কয়েকটি স্থানে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজন শিক্ষককে নিহতও করা হয়েছে। তাও নিজ ছাত্রের হাতে। আমরা কোন পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি তা জানা নেই। আজকে শিক্ষকরা কোথাও নিরাপদ নয়।

তিনি আরও বলেন, যে শিক্ষক আমাদের নৈতিকতা শেখান আজ তাদের উপরই হামলার ঘটনা ঘটছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর উপর হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হয় নতুন করে আমরা আবার কর্মসূচি ঘোষণা করবো।  

উল্লেখ্য- জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর উত্তরার বাসায় মুসল্লিদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে জুমার নামাজের পর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৬/এ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।