রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীর অবস্থান

ঈদুল আজহা
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা  © মোমেন্টস ফটো

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে এবং সহজ.কম দ্বারা যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে তিনি বলেন, "যতদিন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন আমি এখানে অবস্থান করে যাবো। সবার নিকট আমি সহযোগিতা চাই।"

তার ছয়দফা দাবিগুলো হলো:

১. সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে ; ২. টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; ৩. টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; ৪. ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; ৫.ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি,  বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ৬. ট্রেনের সীট সংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তার সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

এর আগে নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি স্ট্যাটাস দেন, " আমি রেলওয়ের সমস্যার শেষ দেখতে চাই। আল্লাহই ভরসা, দৃঢ়চিত্তে বলছি সমাধান করেই তবে বাড়ি ফিরবো। যেহেতু আমার একার পক্ষে দুঃসাধ্য। তাই আমি নিরুপায় হয়ে জনগণের দ্বারে এসেছি। অনেকেই বলেছেন এটা খুবই রিস্কি যায়গা। প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা প্রবল। তবে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে।

সেখানে তিনি আরও লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্টেটমেন্ট, '' দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টোলারেন্স'' অনুযায়ী বুক ভরা সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আমি রিস্ক নিতে প্রস্তত এবং আমি কমলাপুর রেলস্টেশনে একা অবস্থান করছি। আপনারাও আপনাদের অবস্থান থেকে কথা বলুন। এই সমস্যা সমাধানে সবাই এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করবোই, ইনশাআল্লাহ।"

প্রসঙ্গত, এর আগে গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়নসহ ৬ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে আলোচনায় আসেন এই শিক্ষার্থী।


মন্তব্য