ঢাবির হলে মাদক সেবন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাবির হলে মাদক সেবন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
ঢাবির হল  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে বিয়ার পান, উচ্চ শব্দে গান ও চিৎকার করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শোকের মাস আগস্টের মধ্যেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মাদক সেবন ও আনন্দফূর্তি করতে গিয়ে এ ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জাড়ান। ঘটনার পর উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে মহড়া দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেন। 

বৃহস্পতিবার রাতে হলটির মূল ভবনের ছাদে এমন ঘটনা ঘটে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিবাদে জড়ানো দুই পক্ষ হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানার গ্রুপ ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের গ্রুপ। 

তবে মাদক নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা অস্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা। তিনি বলেন, রাতে হলের ছাদে উচ্চস্বরে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাঁদের সমঝোতা করিয়ে দিই। এখানে মাদক সেবনের কোনো বিষয় ছিল না। রাকিবুল হাসানকে থাপ্পড় দেওয়ার জন্য আসাদুজ্জামান দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আর হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জহুরুল হক হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, রাত দেড়টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী রাকিবুল হাসান ওরফে রাহীসহ তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত একদল কর্মী হলের মূল ভবনের ছাদে বিয়ার পান করছিলেন। তাঁরা চিৎকার করে গানও গাইছিলেন। এ সময় চিপসের প্যাকেট ও কোমল পানীয় নিয়ে (মদপানের উদ্দেশ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে) ছাদে যান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানার অনুসারী আসাদুজ্জামান ফরিদসহ স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত একদল কর্মী। আসাদুজ্জামান রাকিবুলদের ছাদ থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু রাকিবুলেরা ছাদ থেকে যাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আসাদুজ্জামান রাকিবুলকে থাপ্পড় দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাকিবুল তাঁর পক্ষের (সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন) জ্যেষ্ঠ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের থাপ্পড়ের ঘটনাটি জানান। এরপর থাপ্পড়ের কারণ জানতে আবদুর রহিম ওরফে শান্ত, হাসানুর রেজাসহ কয়েকজন কর্মী ছাদে গিয়ে আসাদুজ্জামানের কাছে রাকিবুলকে থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।