ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে হয়রানি বন্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে একাই দাঁড়ালেন শিক্ষার্থী

ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে হয়রানি বন্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে একাই দাঁড়ালেন শিক্ষার্থী
ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে হয়রানি বন্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে একাই দাঁড়ালেন শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হয়রানির অভিযোগ অনেক পুরনো। বরাবরই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানালেও কোন সমাধান হয়নি। এবার শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধসহ আট দফা দাবিতে একাই প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবাদী এক শিক্ষার্থী। হাসনাত আব্দুল্লাহ নামের ওই শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত।

মঙ্গলবার তাকে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে দুইটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে লেখা আছে- ‌‘‘ডিজিটাল যুগে সনাতনী পদ্ধতিতে ছাত্র হয়রানি বন্ধ হোক’’, ‘‘‘লাঞ্চের পরে আসুন’ সুলভ আচরণ বন্ধ করুণ, পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন’’

হাসনাতের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনের জন্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করতে হবে। যেখানে সেবাগ্রহীতারা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে পারেন। ২. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করতে হবে। ৩. নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিস সমূহের অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিস সমূহের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে হবে। ডিসপ্লেতে অফিস সমূহের নাম, কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম ও ছবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করতে হবে। ৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করতে হবে। ৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক-বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতমূলক করতে হবে।প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারসমূহের শরণাপন্ন হতে হবে। ৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবে না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবসমূহে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।