ঢাবি প্রশাসনকে ছাত্রীদের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে ক্যান্টিনের খাবারের মানবৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে নারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক এবং এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে প্রবেশাধিকার দেওয়া; হল প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি; খাবারের মান বৃদ্ধি ও ভর্তুকি প্রধান; প্রত্যেক হলে ফার্মেসি স্থাপন; বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমানো।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দাবি আদায়ে সমাধান না হলে তারা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানায়। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে তারা এ আল্টিমেটাম দেয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের  সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ঋদির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে সাদিয়া প্রাপ্তি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম প্রমুখ।

এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে সাদিয়া প্রাপ্তি বলেন, আমি দুমাস হয়েছে শামসুন নাহার হলে উঠেছি। হলে উঠার আগে আমি ভাবিনি হলে এত সমস্যা হবে। আমরা মানুষ হিসাবে ভাল খাবারের প্রত্যাশা করতে পারি। কিন্তু হলে তা পাচ্ছি না। হলে বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমাদের নানা কারণে রাতে অনেক সময় হলে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়। সেজন্য সময় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমরা চাই আমাদের দাবিগুলো পূরণ হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

জৈব রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা যারা হলে থাকি হলে গিয়ে দু বেলা ঠিকমতো খেতে পারি না। এখন হলে একবেলা খেতে ৫০ টাকা লাগে। খাবারের দাম বাড়লেও খাবারের মান বাড়েনি। আমরা হল প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তারা বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন ভর্তুকি দেওয়া হয় না। যার কারণে আমরা ভালো করতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, হলের কর্মচারীদের এত বাজে ব্যবহার যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা তাদের দ্বারা এক ধরনের হেনাস্থার শিকার হই। যারা হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা কোন হলে সামান্য রেস্ট নেওয়ার সুযোগ পায় না। সেও তো হলে ফি দেয়। তাহলে কেন হলে রেস্ট নিতে পারবে না। কেন হলে খেতে পারবে না। আমরা চাই আমাদের এ দাবিগুলো যেন পূরণ হয়।

জৈব রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা আমাদের রুমগুলো নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হই। গণরুমের অবস্থা একদম ভালো নয়। রান্নাঘরের অবস্থা দেখলে যে কারো খাওয়ার ইচ্ছে করবে না। তার পরেও আমাদের খেতে হচ্ছে। আমাদের হলগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা নাই।

শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে একসাথে বসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের জন্য বড় বড় বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। তারা সেখানে না থেকে রুম নিয়ে ভাড়া দিচ্ছে। হলে সিট না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে সেখানে বেশি ভাড়া দিয়ে থাকছে। প্রশাসন যদি আমাদের সাথে এরকম আচরণ করতে থাকে তাহলে আমরা প্রশাসনের উপর সম্মান হারাবো।