ছাত্রদলের আসার খবরে ঢাবিতে সর্তক ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা ক্যাম্পাসে আসবেন- এমন খবরে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। আজ সোমবার সকাল থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে আসার কথা জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দলের নেতারা ক্যাম্পাসে আসবেন বলে জানা গেছে।

গত মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের পর থেকে ছাত্রদল ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়। এতে খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
 
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ হিসেবে সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে আসার কথা ছিল ছাত্রদলের। খবর পেয়ে সকাল থেকেই টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত মোড়, পলাশী মোড়সহ ক্যাম্পাসের প্রায় সব প্রবেশমুখ ও মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা মিছিল করেন ও মহড়া দেন। পাশপাশি ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন৷ পরে ছাত্রদল আসবে না- এমন খবর পেয়ে তারা চলে যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের লাশের ওপর ভর করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায় বিএনপি-জামায়াত৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাঙ্গনের সুন্দর পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেজন্য রাজনৈতিক সচেতনতার জায়গা থেকে আমরা ছাত্রসমাজ সচেতন রয়েছি৷ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে যেন শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারেও আমাদের রাজনৈতিক সচেতনতার তাগিদ রয়েছে৷

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম৷ বলেন, আজকে ক্যাম্পাসে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে আমাদের (ছাত্রদলের নতুন কমিটি) সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা ছিল৷ শেষ মুহূর্তে ওই সাক্ষাতের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়লে শেষ মুহূর্তে আমাদের ক্যাম্পাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে যেতে বলেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আগামীকাল মঙ্গলবার উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে৷ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাঁর অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করব, ইনশাআল্লা।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা যেমন ক্যাম্পাসের ছাত্র, আমরাও ক্যাম্পাসের ছাত্র৷ আমরা কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নই৷