উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের ঢাবি ভিসি বরাবর স্মারকলিপি

উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের ঢাবি ভিসি বরাবর স্মারকলিপি
  © টিবিএম ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসে সকল দল ও মতের সহাবস্থান নিশ্চিত না করে বরং ছাত্রলীগের বারবার হামলার প্রশ্রয়ের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে 'উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং নাগরিক সমাজ'। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। 

সমাবেশে বুয়েট ছাত্র আবরার স্মরণ সভায় হামলার শিকার এবং উল্টো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণ সংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

প্রতিবাদে সমাবেশে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী আকরাম হোসেনের বাবা বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হোক যেন তারা  থাযথ ভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। আমার ছেলে এখন পর্যন্ত ৩৬ জায়গায় মার খেয়েছে। কিন্তু কোথাও মারপিঠ করেছে এমন রেকর্ড নেই। যুগে যুগান্তরে যারা এমন জুলুম করেছে তাদের ফল অবশ্যই খারাপ হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে দাবি জানাচ্ছি আমার ছেলেকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়।

স্মারকলিপি দেয়া অভিভাবকদের দাবিগুলো হলো

১) দলমত নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার্থীদের হল ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করা হোক। 

২) যে বা যারা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ও মতামত প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

৩) লাইব্রেরি চত্ত্বরে হামলা, ডাকসু ভবনে হামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত হামলা গুলোর যথাযথ বিচার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করুক। 

৪) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া চর্চার জন্য নিয়মিতভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। 

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণ সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেই স্মরণ সভায় ছাত্রলীগ হামলা চালায়। আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জেলে রয়েছেন।