ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাসময় অফিস করেন না
- জাকির হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৩০ PM , আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৩০ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের (প্রশাসনিক ভবন) দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর নির্ধারিত সময়ের পরও অর্ধেকেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অনুপস্থিত পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে অফিসের নির্ধারিত সময় ৯টার কিছু সময় পর প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা যায় সেখানে প্রায় ২৫৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রম সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা। যা গত ২৪ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের আইসিটি সেলের ১৩টি চেয়ারে কেউ নেই, ৩১৩(ক) নম্বর রুমে ১১ জন, ৩১৯ নম্বর রুমে ১২ জন, ২০৮ নম্বর রুম ১০ জন, ২০৭ নম্বর রুমে ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টায় হিসাব শাখা পুরোপুরি বন্ধ। সাড়ে ৯টায়ও এ শাখার ১২৩(ক) নম্বর কক্ষে ৬ জন অনুপস্থিত।
উপ-হিসাব পরিচালক মশিউর রহমান আসেন সকাল ১০টার দিকে। ৯টা ২০ মিনিটের দিকে পেনশন শাখায় অধিকাংশ চেয়ারই ছিল ফাঁকা। এসময় হিসাব শাখার পরিচালকসহ এ শাখায় ১৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী আধঘণ্টা বিলম্বে আসেন সকাল সাড়ে ৯টায়। সহকারী প্রকৌশলী প্রীতম দত্তকে তখনো অনুপস্থিত দেখা যায়। একই সময়ে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে একজন অনুপস্থিত, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অফিসে (কক্ষ নম্বর ১১৮) ৩ জন, হিসাব শাখার আওতাধীন ১২৩/ক নম্বর কক্ষে ৬ জনের সবাই, ১২৪/খ নম্বর কক্ষে ৩ জন, চেক দেওয়ার কক্ষে ৪ জন, ১২৪/গ নম্বর কক্ষে ভর্তি শাখায় ৪ জন, ১২৪/ঘ নম্বর কক্ষে ট্রাস্ট ফান্ড শাখার ৪ জনের সবাই, ১২৭ নম্বর কক্ষে ১৩ জন, ১১৭ নম্বর কক্ষে ৩ জনের সবাই, ১১৬ নম্বর কক্ষের ২ জন, ১১৫ নম্বর কক্ষে ৮ জন, ১১৩ নম্বর কক্ষে ১ জন, ১০৩ নম্বর কক্ষে কোষাধ্যক্ষের অফিসে একজন এবং উপাচার্য অফিসে একজন অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও ই-টেন্ডার রুম, পরীক্ষা উপ-নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ৩) সৈয়দা মাসুদা আক্তারের কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। তবে ২১২, ২১২ (ক), ২০৩, ২০৫ নম্বর কক্ষের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, তাদের প্রতি কঠিন বার্তা দেয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। সময়মতো অফিসে আসা, যথাসময়ে যাওয়া এগুলো চাকরির বিধি। এগুলো যথাযথভাবে মান্য করা খুবই জরুরি।