পর্যাপ্ত ক্লাস এটেনডেন্স না থাকায় ঢাবিতে পরীক্ষা দিতে পারছেন না রনি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৩৩ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৩৩ PM

ক্লাসে পর্যাপ্ত উপস্থিতি (ক্লাস এটেনডেন্স) নিশ্চিত করতে না পারায় বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না রেল বিভাগের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন করে আলোচিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
রনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) ওই বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের প্রথম পরীক্ষা থাকলেও রনি পরিক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, স্যারদের প্রতি আমার কোন অব্জেকশন নেই। আমার ভুল ছিল। আমি তিন মাস অসুস্থ ছিলাম। আমি নিয়মিত ভাবে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারিনি। স্যারদের সব সার্টিফিকেট দেখিয়েছি,তারা খুব বিচক্ষণতার সাথে সবগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নৈতিকতার জায়গায় আমি নিজের কাছে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলছি, আমি ত নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। স্যাররা বলেছেন, একটি প্রটোকলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমাকে এভাবে সুযোগ দিলে এটি ইনজাস্টিস হয়ে যাবে অনেকের জন্য।
অসুস্থতা সহ সার্বিক বিষয় অবগত করে বিভাগে ছুটি চেয়ে কোন আবেদন করেছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে রনি বলেন, না, ছুটি মঞ্জুরের জন্য আমি বিভাগে কোন আবেদন করিনি।
এ বিষয়ে থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সেমিস্টারে ওর ক্লাসে উপস্থিতির হার খুবই কম। সে কোন মিডটার্ম পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম আছে যে পরিক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য কমপক্ষে ৬০% উপস্থিতি থাকতে হয়। তার সাথে আমাদের কথা হয়েছে, সে জিজ্ঞেস করেছে স্যার আমি সুযোগ পাবো কি পাবো না? তাকে বলেছি এটা ত নিয়মের ব্যত্যয় হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের জায়গা থেকে পরিক্ষা কমিটির সভাপতি তাকে ভিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ভিসি স্যার তাকে বলেছেন, এটার পদ্ধতি হলো, বিভাগীয় একাডেমিক মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা। সেখান থেকে তা ডিনের কাছে যাবে। ডিন থেকে তার কাছে। এটা গত পরশুর ঘটনা,এত স্বল্প সময়ে কাজ গুলো করা কঠিন। তাতেও তারা পরিক্ষার জন্য অনুমতি দিবেন তাও নিশ্চিত না। আর ইতিমধ্যেই আজকে তাদের একটি পরিক্ষা হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, এবছরের এপ্রিল মাসে ঢাবির মেডিকেল সেন্টারে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবিতে অনশন করে প্রথম আলোচনায় আসেন মহিউদ্দিন রনি। তারপর গত জুলাই মাসে দেশের রেল বিভাগের অনিয়মের বিরুদ্ধে একক অবস্থান পালন করে আবারো দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেন এই ঢাবি শিক্ষার্থী ।