আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ: ঢাবির গবেষণা ও প্রকাশনা মেলায় শিল্পমন্ত্রী

আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ: ঢাবির গবেষণা ও প্রকাশনা মেলায় শিল্পমন্ত্রী
  © টিবিএম ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলা। আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে দু’দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে শতবর্ষের ঢাবি ও গবেষণা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউট/গবেষণা সেন্টারের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনাসমূহ তুলে ধরা হচ্ছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণার কারণে বিপুল জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের গবেষণার কারণে ধানের বিভিন্ন প্রকার উদ্ভাবিত হয়েছে। সেগুলোকে আমরা দেশের কাজে লাগাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের রপ্তানিকে আমরা বহুমুখীকরণ করার চেষ্টা করছি। এগুলো করবে গবেষকরা। আজকের বিশ্ব সভ্যতা গবেষণারই ফুল। গার্মেন্টস আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও এর মূল তুলা আমরা আমদানি করি। চামড়া একটি বড় শিল্প, ঢাবিতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট কাজ করছে। এক্ষেত্রে গবেষণা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসন্ন৷ রোবটিক্সের কারণে আমাদের কর্মবাহিনী কর্মহীন হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। 

গবেষকদের সার্বিক সহায়তা করার আশ্বাস দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা গবেষণায় নিয়োজিত আছেন তাদের প্রতি আমরা যেন সহানুভূতিশীল হই। আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইন্টার্নিসহ কাজ করার সুযোগ আমি করে দিব। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ঢাবির এলোমনাইদের মাঝে দানশীল মনোভাব তৈরি জরুরি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বিনামূল্যে পড়াশোনা করে, যারা বিদেশে চলে গেছেন, ডলারে বেতন পাচ্ছেন তাদের  তাদের ব্যাক্তিগত পর্যায়ে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে তৈরি করেছে বলেই আজকে আমি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ক্যারিয়ার গড়তে পরেছি। সেদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফান্ড এ দান করা আমার ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। সেগুলোকে আমাদের শিক্ষকরা মনিটর করবেন।

প্রসঙ্গত, এ মেলায় অনুষদগুলোর জন্য ১০টি, ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য একটি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য একটি এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটিসহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন স্থান পেয়েছে।  এ ছাড়া একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চের মাধ্যমে মেলা পরিচালিত হচ্ছে। মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাগুলো (যেমন : গ্রন্থ, জার্নালের বিশেষ সংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, পোস্টার, ফ্লায়ার, ব্রশিয়ার) প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে। মেলায় একটি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লায়ার/্ব্রোশিয়ার প্রদর্শিত হচ্ছে।