খাদ্যে যদি স্বয়ংসম্পুর্ণ হই তবে দেশে দুর্ভিক্ষ কেন হবে? প্রশ্ন সলিমুল্লাহ খানের

ঢাবি
  © টিবিএম ফটো

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সতর্ক বার্তা দিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছেন সামনে বছর দুর্ভিক্ষ হতে পারে। মনে হচ্ছে যেন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের সকল ব্যয়ভার আমরাই বহন করছি। 

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ-এর ৭৬-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে 'বাংলাদেশে চলমান ইতিহাসচর্চার সংকট ও সৈয়দ আবুল মকসুদ-এর সাধনা' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি

এ সময় সরকারের খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতার দাবিকে প্রশ্ন রেখে সলিমুল্লাহ খান বলেন , দুর্ভিক্ষ কেন আগামী বছর হবে? সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ হলে আমাদের দেশে কেন দুর্ভিক্ষ হবে?  আমরা তো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যে যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হই, খাদ্যদ্রব্য কেন আমাদের আমদানি করতে হয়? এ প্রশ্ন গুলো তোলা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ১৮৯৩ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন ব্রিটিশ আমলে এমন ১০ বছর যায় নি যখন দুর্ভিক্ষ হতো না। মাওলানা ভাসানীর পরিবার দুর্ভিক্ষ ও কলেরার শিকার ছিলেন। তার পরিবারের সবাই কলেরায় মারা গিয়েছিলেন। তখন ড. জিল্লুর রহমানরা বলেছিলেন এর পর বাংলাদেশে আর কখনো দুর্ভিক্ষ হবে না ৷ তবে হ্যা, অর্থনীতির ভাষায় বলা যায়, মানুষের ক্ষুধায় মৃত্যু হবে না তবে কিছুটা অপুষ্টি আছে। বাচ্চাদের গ্রোথ বা ওজন কম হতে পারে। 

মাওলানা ভাসানীর ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের অবহেলার দিক তোলে ধরে সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশের তথাকথিত সিভিল সোসাইটি মাওলানা ভাসানীর জীবনী আলোচনা করতে চান না। ভাগ্যিস ২০১২ সালে অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছিল, এর আগে ত মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে কথাই বলা যেত না। মাওলানা ভাসানীর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, একটি রাস্তা আছে এতটুকুই যথেষ্ঠ নয়।