যে দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের প্রতীক ঢাবির বটগাছটি

ঢাবি
  © সংগৃৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বটগাছটি ধ্বংস করে দেয়। ১৯৭২ সালে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বর্তমান বটগাছটি রোপণ করেছিলেন। বটগাছটি দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি’র ওপর একটি স্মারক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
 
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থিত বটগাছের মতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়র।

কেনেডি জুনিয়র বলেন, আমার বাবা ১৯৭২-এর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তখন এখানকার শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। 

আমার বাবা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে সে সময় গাছটি রোপণ করেছিলেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা ওই জায়গায় থাকা বটগাছটি ১৯৭১ সালে উড়িয়ে দিয়েছিল। কারণ সেখানে শিক্ষার্থীরা একত্র হতো এবং আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করত। বাবা গাছটি রোপণ করেছিলেন, যাতে শিক্ষার্থীরা আবার সেখানে জড়ো হয়ে রাজনৈতিক আলোচনা করতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, আমার বাবা আমাদের বড় হওয়ার সময় এই মহান জাতির গল্প বলেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ বাঙালির কথা, নিজ বাচ্চার মৃতদেহ কোলে রাখা মায়েদের কথা, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাজার হাজার শিক্ষক ও ছাত্রকে এলোপাতাড়ি গুলি করার কথা বলেছিলেন। 


মন্তব্য