যে ভয়ে বুয়েটের হলে থাকতে দেইনি, আমার ছেলের সেটাই হলো

বুয়েট
  © টিবিএম ফটো

বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা বলেন, যে ভয়ে বুয়েটের হলে থাকতে দেইনি, আমার ছেলের সেটাই হলো। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের পাসপোর্ট হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে স্পেনে একটা ডিবেট কমপিটিশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেল।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ফারদিনের বাবা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। শুক্রবার দুপুরে বুয়েটের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আর যোগাযোগ হয়নি, এরপর রাত এগারোটার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাই।

এদিকে তার মামা জানিয়েছেন, ফারদিন খুবই শান্ত একটা ছেলে ছিল। কারো সঙ্গে কথা বলতে গেছে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে কথা বলত। কিন্তু তার সঙ্গে এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটে গেল এটা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। 

বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মরদেহ উদ্ধারে পর এ ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরা এলাকায় তিনি তার এক বান্ধবীকে বাসায় যাওয়ার জন্য নামিয়ে দেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ। 

তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে ফারদিনের বুকে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে বেশ কিছু উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।