১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৫২

কুষ্টিয়ায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যাওয়ার পর কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু  © ফাইল ফটো

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদায় বিশ্বাসের মেয়ে শয্যা বিশ্বাস (১৮)। তিনি খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

আটককৃত সৌরভ সরকার জয় টাঙ্গাইল জেলা সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন সৌরভ-শয্যা। পরে সেখানেই দুজন অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর হঠাৎ করেই শয্যা অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে হোটেলের ম্যানেজার রিপন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সৌরভ-শয্যা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিল। এরপর থেকেই তারা হোটেলেই অবস্থান করছিলেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই নারী অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

নিহতের বাবা উদায় বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার সকালে আমার মেয়ে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। একই দিন দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ করে না পেয়ে, সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যাব ভাবছি। ঠিক সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে শয্যার মৃত্যুর সংবাদ আসে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, আবাসিক হোটেলে কলেজছাত্রী শয্যা মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশ সেখানে যায়। তার মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি। 

তিনি আরও জানান, সৌরভ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সৌরভের দাবি, তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।