ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হত্যা মামলার ২ আসামী গ্রেফতার 

ঈশ্বরদীতে আলোচিত রিকশা চালক মামুন হোসেন (২৫) কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজনের নামে দায়েরকৃত হত্যা মামলায় প্রধান আসামী সহ ২ জন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এদিকে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে  মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে  বৃহস্পতিবার(৫ জানুয়ারি)  দিবাগত রাত ২ টার সময় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেন।

শুক্রবার(৬ জানুয়ারি)  ভোর ৫ টার সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ও তার ভাতিজা হৃদয় হোসেন কে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি (শ্যালো মেশিনচালিত) ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন (২৫), রকি (২৬) ও সুমনের সঙ্গে চালকের বাকবিতণ্ডা হয়।

এসময় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে যুবলীগ সমর্থিত আনোয়ার উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলে এলে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটি চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ জন ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন, রকি, সুমনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে রিকশাচালক মামুন হোসেন (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান এবং অপর দুইজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, রিকশাচালক মামুন হোসেন হত্যা মামলার দুজন আসামি কে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তর করেছে  র‌্যাব। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

সাধারন জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি

এদিকে, ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কে নির্দোষ দাবী করে তার মুক্তির দাবীতে ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসাহাক আলী মালিথার বাসভোবনে ১ নং ওয়ার্ডের সাধারন জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি।